ওয়াইন তৈরিতে সেরা ৫টি দেশ
বিশ্বের অনেক দেশই ওয়াইন তৈরির ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কিছু দেশেই দারুণ স্বাদের ওয়াইন পাওয়া যায়। আসুন আজ বিশ্বের সেরা মানের ওয়াইন তৈরি করে এমন কিছু দেশ সম্পর্কে জেনে নেই।
মাইক টাইসন
মাইক টাইসনই অবশ্য প্রথম এবং শেষ বক্সার নয় যিনি লড়াইয়ের সময় কেবল তার মুষ্টিই নয়, দাঁতও ব্যবহার করেছিলেন। তবে তার কামড়ের ঘটনাই সবচেয়ে কলঙ্কজনক ছিল এবং বহু বছর ধরে মানুষ এটি মনে রেখেছে। মাইক টাইসনের "শিকার" ছিলেন অ্যাথলেট ইভান্ডার হলিফিল্ড, যিনি সেদিন তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নোংরা কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। সম্ভবত এই কারণেই মাইক টাইসন তার রাগ ধরে রাখতে পারেননি এবং আক্ষরিক অর্থে তার প্রতিপক্ষের কানের একটি টুকরো কামড়ে ছিড়ে ফেলেছিলেন। রিংয়ে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য, এই বক্সারকে $3 মিলিয়ন জরিমানা করা হয়েছিল এবং সাময়িকভাবে ডিসকোয়ালিফাইড ঘোষণা করা হয়েছিল।
লুইস সুয়ারেজ
অন্যান্য খেলার খেলোয়াড়েরাও কামড়াতে পছন্দ করেন। উদাহরণস্বরূপ, উরুগুয়ের ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ ফুটবল দুনিয়ায় একজন "কুখ্যাত অপরাধী" হিসাবে পরিণত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে বারবার লুইস সুয়ারেজের অখেলোয়ারসুলভ আচরণের বিষয়ে প্রতিবেদন এসেছে। বিশেষ করে কঠিন মুহুর্তে, বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং দাঁত নিয়ে তার প্রতিপক্ষের দিকে ছুটে যান। পরে, ক্রীড়াবিদ তার সমস্যা বুঝতে পেরেছিলেন এবং পেশাদার মনস্তত্ত্ববিদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পেপে ফেরেরা
ব্রাজিলিয়ান এবং পর্তুগিজ ফুটবলার তার অখেলোয়ারসুলভ আচরণের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার দ্বারা সংঘটিত সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি 2009 সালে 2টি স্প্যানিশ ক্লাবের মধ্যে একটি ম্যাচের সময় ঘটেছিল। সেই ম্যাচে পেপে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছিলেন এবং তার প্রতিপক্ষ ছিল গেটাফে। মাদ্রিদের ডিফেন্ডার পেপে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় জাভিয়ের ক্যাসকেরোকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলেন এবং তারপরে লাথি মারতে শুরু করেন। এই ঘটনার পর পেপেকে 10 ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। অবশ্য, এই ঘটনা থেকে তিনি খুব বেশি শিক্ষা গ্রহণ করেননি। এই ফুটবল খেলোয়াড় যখন তখন মাঠে মারামারি শুরু দেন।
ফ্লয়েড মেওয়েদার
বক্সার মাইক টাইসন এবং ইভান্ডার হলিফিল্ডের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাটিকে গত শতাব্দীর সবচেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা বলা হয়। অন্যদিকে ফ্লয়েড মেওয়েদার এবং ভিক্টর অর্টিজের মধ্যে লড়াই আমাদের সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। লড়াইটি 2011 সালের সেপ্টেম্বরে সংঘটিত হয়েছিল। এই ম্যাচটি ফ্লয়েড মেওয়েদারের গ্লানিময় জয়ের জন্য স্মরণীয়, কারণ সেদিন তিনি কার্যত প্রতিরক্ষাহীন প্রতিপক্ষকে নকআউট করে দিয়েছিলেন। ভিক্টর অর্টিজ যখন তার বাহু নামিয়েছিলেন ঠিক সেই মুহুর্তে তার চোয়ালে ভয়ংকর আঘাত করা হয়েছিল।
ইডেন হ্যাজার্ড
ক্রীড়াবিদরা সবসময় তাদের প্রতিপক্ষের উপর রাগ প্রকাশ করেন না। উদাহরণস্বরূপ, 2013 সালের প্রথম দিকে ইংলিশ লিগ কাপের সেমিফাইনালের সময় যে ঘটনাটি ঘটেছিল তার কথা ধরুন। সেই ফাইনাল ম্যাচে সোয়ানসি সিটি এবং চেলসি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেদিনকার অ্যান্টি হিরো ছিলেন লন্ডনের স্ট্রাইকার ইডেন হ্যাজার্ড। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে তিনি বল সার্ভ করা একটি ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করেন। এই ফুটবল খেলোয়াড় তার অসদাচরণের ব্যাখ্যা এই বলে দিয়েছিলেন যে বল-বয় ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণের জন্য বল আটকে রেখেছিল, যা তাকে বিরক্ত করেছিল।
জিনেদিন জিদান
মজার বিষয় হল, কখনও কখনও ক্রীড়াবিদদের অখেলোয়ারসুলভ আচরণের কারণগুলো বহু বছর পরে প্রকাশিত হয়। 2006 ফিফা বিশ্বকাপে ফরাসি জাতীয় দলের অধিনায়ক জিনেদিন জিদান "নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা" করেছিলেন। ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন সময়ে তিনি ইতালীয় ডিফেন্ডার মার্কো মাতেরাজ্জির বুকে মাথা দিয়ে ঢুস দেন। সবে 2020 সালে এই ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড় গোপনীয়তার পর্দা উন্মোচন করেছিলেন এবং জিজোর রাগের কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন। দেখা গিয়েছিল যে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। মার্কো মাতেরাজ্জি এমন একটি বিতর্ককে উস্কে দিয়েছিলেন যা এই ফরাসি কিংবদন্তির ক্যারিয়ারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল।
দিয়েগো সিমিওনে
1998 সালের বিশ্বকাপে আরেকটি হাই-প্রোফাইল কেলেঙ্কারি ঘটেছিল। আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় দিয়েগো সিমিওন তার প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দিয়েছিলেন - এবং সেই প্রতিপক্ষ হচ্ছে "ইংরেজ দলের সোনার ছেলে" খ্যাত ডেভিড বেকহ্যাম। এটি তাকে গুরুতরভাবে ক্ষুব্ধ করে এবং প্রতিশোধ হিসাবে তিনি এই আর্জেন্টাইনকে ল্যাং মারেন। কিন্তু ডিয়েগো সিমিওন পিছু হটেননি এবং গুরুতর আঘাতের ভান করতে শুরু করেন। আর যেহেতু রেফারি ঘটনার শুরু থেকে ছিলেন না, তাই শাস্তিস্বরূপ ডেভিড বেকহ্যামকে মাঠের বাইরে পাঠানো ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না।
টনিয়া হার্ডিং
মনে করবেন না যে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ শুধুমাত্র পুরুষ ক্রীড়াবিদরাই করে থাকে। প্রমীলা ক্রীড়াবিদ দ্বারা সংঘটিত সবচেয়ে বিখ্যাত কেলেঙ্কারি 1994 সালের প্রথম দিকে ঘটেছিল। আমেরিকান ফিগার স্কেটিং তারকা টনিয়া হার্ডিং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যান্সি কেরিগানকে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। উভয়ই মার্কিন অলিম্পিক দলে জায়গা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় ছিলেন। তাই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্মূল করতে, টনিয়া হার্ডিং তার বন্ধুকে ন্যান্সি কেরিগানের পা ভাঙতে বলে। অবশ্য, তার সেই বন্ধু পরিকল্পনাটিকে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি (তিনি কেবল ন্যান্সির হাঁটুতে একটি ব্লাডজন দিয়ে আঘাত করেছিলেন)। তবুও, এই অপরাধের প্ররোচনাকারীর নাম শীঘ্রই সবার কাছে ফাঁস হয়ে যায়।
বিশ্বের অনেক দেশই ওয়াইন তৈরির ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কিছু দেশেই দারুণ স্বাদের ওয়াইন পাওয়া যায়। আসুন আজ বিশ্বের সেরা মানের ওয়াইন তৈরি করে এমন কিছু দেশ সম্পর্কে জেনে নেই।
সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় খবর হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়। এই ঘটনাটি সারা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দেয় যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস জুড়ে, বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট নাটকীয়ভাবে দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির পুনর্বিন্যাস করেছে এবং বিদেশে দেশটির প্রভাব জোরদার করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী কিছু ঘটনার দিকে আলোকপাত করা যাক
ডিপফেক হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ভিত্তি করে নকল ভিডিও, অডিও এবং বাস্তব মানুষের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছবি তৈরি করার প্রযুক্তি, যা দেখতে ও শুনতে বাস্তব মনে হলে তা আদতে বাস্তব নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এটি অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, যা প্রশংসা এবং উদ্বেগ উভয়ই উদ্রেক করেছে। যেসকল সেলিব্রেটিদের মুখ প্রায়শই এই ধরনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তারা এর প্রভাব সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভব করেছে। এই প্রবন্ধে, আমরা পাঁচজন "ডিপফেক প্রযুক্তির" শিকার ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করব।