empty
 
 
16.04.2025 08:20 AM
১৬ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি, ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য এখন আর কোনও নির্দিষ্ট কারণের প্রয়োজন পড়ছে না। আমরা আগেও একাধিকবার বলেছি যে বর্তমানে মার্কেটে মুভমেন্টের পেছনে খুব বেশি যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না—এটি মাথায় রাখা জরুরি। গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করেননি। যুক্তরাজ্যে কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তবে সেগুলো পাউন্ডের পক্ষে ছিল এমন ধারণা করা হচ্ছে না। বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত ছিল, মজুরি 5.6% বেড়েছে, এবং জবলেস ক্লেইমস বা বেকারভাতা আবেদনের সংখ্যা পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য কম ছিল।

এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেডারদের প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক ছিল না, তবে প্রকৃতপক্ষে পূর্বাভাস ও মূল ফলাফলের মধ্যে বিচ্যুতিগুলো ছিল অতি সামান্য, এবং মূল বেকারত্বের হারে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবুও ওই প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে পাউন্ডের মূল্য আরও ৪০ পিপস বেড়েছে — এবং রাতের বেলাতেও মূল্য আরও ৪০ পিপস বেড়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে প্রত্যেকটি সিগন্যালই দুর্বল ছিল। সারা দিনই 1.3325 লেভেলটি উপেক্ষিত ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের কোনো ধরনের কারেকশন হচ্ছে না; এটি কেবল ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে অথবা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। সম্পূর্ণ মুভমেন্ট টেকনিক্যাল কারণে হচ্ছে না এবং এই ধরনের মুভমেন্টের কোনো যৌক্তিক ভিত্তিও নেই।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে ইতোমধ্যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনও ডলারকে দুর্বল করার জন্য সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনার পর থেকে আমরা কারেন্সি পেয়ারগুলোর দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মার্কেট এখন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেই—ডলার দরপতনের শিকার হয়। ট্রাম্প শুল্ক বাড়ালেও—ডলারের দরপতন হয়। এমনকি বাণিজ্য উত্তেজনা কমে গেলেও হয় মার্কেট স্থির থাকে বা তারপরও ডলার দুর্বল হয়।

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। আজ পাউন্ড বা ডলারের মূল্য কোন দিকে যাবে, সেই পূর্বাভাস দেয়া প্রায় অসম্ভব। যদিও বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত কোনো নতুন তথ্য আসেনি, তবুও ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। রাতের বেলাতেও কোনো বিরতি ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে এখন যেসব লেভেল বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365।

বুধবার যুক্তরাজ্যে মার্চ মাসের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, এবং ট্রেডাররা আবারও সেই প্রতিবেদনের ফলাফলকে পাউন্ডের পক্ষে ব্যাখ্যা করতে পারে। এমনকি যদি ফলাফল দুর্বলও হয়, ডলার কিছু সময়ের জন্য শক্তিশালী হলেও পরবর্তীতে আবারও ডলারের দরপতনের ধারা ফিরে আসতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.