empty
 
 
27.10.2024 06:58 AM
২৫ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবারে খুবই কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলোর ফলাফল মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। গতকাল ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের সামান্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং EUR/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং, বলা যায় যে চলমান প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী দিকে পরিবর্তিত হচ্ছে। যদি আজকের মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের ফলাফল দুর্বল হয়, তাহলে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূ্ল্যও ট্রেন্ডলাইনের উপরে চলে যেতে পারে, যা ইউরো এবং পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও দৃঢ় করবে। তবে, যদি মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে উভয় পেয়ারের মূল্য দ্রুত "নিম্নস্তর"-এ ফিরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে, ইউরোর ক্ষেত্রে ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটটি একটি ফলস ব্রেকআউট বলে বিবেচিত হবে। আজ যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোজোন বা যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই।

মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবারের উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট নেই। আজকের জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা নির্ধারিত নেই, যদিও সপ্তাহজুড়ে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তব্য দিয়েছিলেন। এমনকি অ্যান্ড্রু বেইলিও দুইবার বক্তৃতা দিয়েছেন কিন্তু মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য তিনি বিশেষ কোন তথ্য দেননি।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে। আজকের পরিস্থিতি অনেকাংশে মার্কিন পরিসংখ্যানের ফলাফল উপর নির্ভর করবে। এ পর্যন্ত, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের শুধুমাত্র সামান্য হ্রাস দেখা গিয়েছে, যা স্বল্পমেয়াদী প্রবণতার শুরু নিশ্চিত করতে পারে না। ইউরোর ক্ষেত্রে ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটটি একটি ফলস ব্রেকআউট হতে পারে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ক্রমাগত নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। কারেকশন শুরু হতে পারে, তবে পাউন্ডের ক্ষেত্রেও এটি ঘটার জন্য মূল্যকে ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে উপরের দিকে যেতে হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.