আরও দেখুন
শুক্রবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। আমরা শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিল্প উৎপাদন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের বা ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির কথা উল্লেখ করতে পারি। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম, এবং গতকাল আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও কোন কারণ ছাড়াই ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত। এখনও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রইয়েছে, কিন্তু আমরা যদি আজ কোন যুক্তি ছাড়াই উভয় পেয়ারের দর বৃদ্ধি পেতে দেখি, তাহলে সম্ভবত এর অর্থ হবে যে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য দুই বছর ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে শুধুমাত্র ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতাই তুলে ধরার মতো। তদুপরি, এখন পর্যন্ত এটি কখন অনুষ্ঠিত হবে তাও জানা যায়নি। গতকাল, লাগার্ডে উল্লেখযোগ্য কিছু বলেননি, তবুও ট্রেডাররা এত সক্রিয়ভাবে ইউরো কিনেছে যেন ইসিবি আর্থিক নীতি নমনীয় করার পরিবর্তে কঠোর করেছে। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা বারবার 2024 সালে প্রাপ্ত প্রতিবেদন যেমন খুশি তেমনভাবে ব্যাখ্যা করেছে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমিকে উপেক্ষা করে তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে। একই সময়ে, এই পেয়ারের দরপতন আরও যৌক্তিক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিস্থিতি হবে। আজ, নতুন ট্রেডারদের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ট্রেড করতে হবে। শুধুমাত্র উপরে উল্লিখিত দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তাদের সতর্ক থাকা উচিত, কারণ মূল্যের পুলব্যাক বা রিভার্সাল হতে পারে।
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।